আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা ছয় বছর পর অবশেষে সিরিয়ায় জয়ের মুখ দেখছে বাশার বাহিনী। আর মাত্র একটা ঘাঁটি বাকি। রাজধানী দামেস্ক থেকে ৬ কিমি. দূরের পূর্ব ঘৌটা অঞ্চল। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর শক্তিশালী এ ঘাঁটি দখলে আনতে পারলেই সিরিয়া আবার আসাদের হবে। আবার সেই আগের নিয়মে চলবে সিরিয়া। সে উদ্দেশ্য সফল করতেই এবার মরিয়া হয়ে উঠছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
শেষ সময়ে এসে ‘অন্ধ হামলা’ চালাচ্ছেন বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটিতে। কে নিজের লোক, কে শত্রু- কোনো বাছবিচার নেই। লক্ষ্য একটাই- পূর্ব ঘৌটা পুনরুদ্ধার। ‘নাগরিক ঢাল’ সামনে রেখেও যেন একটি শত্রুও পার না পেয়ে যায়। সে লক্ষ্যেই পশ্চিম এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত দেশটিতে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের অস্ত্র বিরতির আদেশও তোয়াক্কা করছে না বাশার বাহিনী। ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়ার দৈনিক ৫ ঘণ্টার অস্ত্র বিরতিতেও কান দিচ্ছে না বাশার বাহিনী। বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। হামলা থেকে হাসপাতাল চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রও রক্ষা পাচ্ছে না। হামলার শিকার স্থাপনাগুলোর মধ্যে সেখানকার মাতৃত্বকালীন একটি সেবাকেন্দ্রসহ চারটি অস্থায়ী হাসপাতালও রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার অস্ত্র বিরতি চলাকালীন সময় দৌমা ও হারাস্তা এলাকায় সিরিয়ার জঙ্গি বিমান থেকে কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। দৌমায় এক নারীসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ঘৌটা শহরের পূর্ব অংশ সরকার ও রুশ বিমান হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। প্রাণহানি হয়েছে নিরীহ শিশুসহ অনেক নাগরিকের। সরকারি বাহিনী ও তার মিত্রদের বিমান হামলায় আটকে পড়েছে স্থানীয়রা।
গত দুই সপ্তাহে নিহত হয়েছেন ৬০০শ-রও বেশি যার মাঝে ১৪৭ জন শিশু। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। ২০১৩ সাল থেকেই দেশটির সরকারি বাহিনী এলাকাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য ও ওষুধের অভাবে সেখানে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে এবং মানুষ তীব্র পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভক্স নিউজকে জানায়, সিরিয়া সরকারের আনা বিদ্রোহীদের উপর আঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হচ্ছে।